চাকরিতে থাকাকালে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য হলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারকসহ ৭ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পাননি। ফলে তাদেরকে অতিরিক্ত সচিব পদ থেকেই অবসরে যেতে হয়। এনিয়ে তারা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার রায়ও তাদের পক্ষে গিয়েছে। তারপরও তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা শেষে তাদেরকে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও খোরশেদ আরা হক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি সূত্র জানায়, ওই ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, আইন মন্ত্রণালয় ও এসএসবি’র বৈঠকে তাদের পদোন্নতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিটি এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে। পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য অপর কর্মকর্তারা হলেন- আব্দুল মালেক মিয়া, খন্দকার মো. আব্দুল্লাহ, মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মো. আকরাম আলী মৃধা, আবিদুর রহমান ও হাসান মাহমুদ দেলোয়ার। এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান গতকাল মানবজমিনকে বলেন, মামলায় তারা পক্ষে রায় পেয়েছেন। আমরা বলেছি রায় অনুযায়ী তাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। কারণ সংসদীয় কমিটি আইন মানার পক্ষে। এদিকে বৈঠকে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় জানানো হয়, বিগত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ২১৩টি ব্যাচের মাধ্যমে ২০ হাজার ৪৬১ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের (বিয়াম) মাধ্যমে এসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আরো জানানো হয়, দক্ষ স্বপ্রণোদিত ও কর্মোদ্যোগী মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিয়াম ফাউন্ডেশন ৩৮টি স্কুল পরিচালনা করছে। এছাড়া, দেশের ১৯টি জেলায় মডেল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আলোচনা শেষে কমিটির পক্ষ থেকে বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা বাড়ানোরও পরামর্শ দেয়া হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.