শিশুদেরও হৃদ্রোগ হতে পারে। শিশুদের হৃদ্রোগ বেশির ভাগই জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়। শিশুর হৃদ্রোগের আরেকটি কারণ বাতজ্বর। গর্ভকালীন মায়ের সংক্রমণ, ক্ষতিকর ওষুধ সেবন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও মায়ের নানা রোগের কারণে শিশুর হৃদ্যন্ত্রে জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। এ ছাড়া ৫ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের বাতজ্বরের কারণে হৃদ্যন্ত্রে প্রদাহ ও পরে ভালভে সমস্যা হতে পারে। ছোট শিশুদের জন্মগত হৃদ্রোগ: কীভাবে সন্দেহ করবেন? * মায়ের কোলে বসে বুকের দুধ খেতে গিয়ে যদি শিশু অতিরিক্ত হাঁপিয়ে ওঠে বা কপাল অতিরিক্ত ঘেমে যায় * চিত করে শোয়ালে হাঁপিয়ে যায় বা শ্বাসকষ্ট হয় * কাঁদতে কাঁদতে নীল হয়ে যায় * বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর ঠোঁট, জিব, আঙুল নীলচে হতে থাকে। -বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। অল্প খেলাধুলা বা ছোটাছুটিতেই হাঁপিয়ে ওঠে। উবু হয়ে বসে পড়লে আরাম পায়। * হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। উল্লিখিত উপসর্গের কোনোটির উপস্থিতি না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটু বেশি বয়সে হৃদ্রোগ ধরা পড়ে। জন্মগত হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন-বেশি বয়সে সন্তান না নেওয়া (বিশেষত ৩৫ বছরের পর), গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন না করা, ডায়াবেটিসসহ যেকোনো রোগের নিয়ন্ত্রণ, গর্ভধারণের আগেই রুবেলার টিকা নেওয়া ইত্যাদি। পরিবারে বা বংশে জন্মগত হৃদ্রোগের ইতিহাস থাকলে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। ডা. শরদিন্দু শেখর রায় জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ ডায়াবেটিসের বিস্তার কতটা? (ডায়াবেটিসের উপসর্গ: পিপাসা বৃদ্ধি, বারবার প্রস্রাব, ক্ষুধা, ক্লান্তি ও ঝাপসা দৃষ্টি) ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি হয় মানুষের। সাধারণত ৪৫ বছর বয়সের পর এই রোগ হয়, শর্করাজাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পরিণামে। যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি ছয়জনের একজনের ডায়াবেটিস হয়। ‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয় প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: দূর যাত্রাপথে বারবার পানি খেতে বলা হয় কেন? উত্তর: দূরের যাত্রাপথে, বিশেষ করে বিমানে বা বাসে যদি ১২ ঘণ্টার বেশি একটানা বসে থাকার প্রয়োজন হয়, তবে পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা বা ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস হয়ে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ ধরনের যাত্রায় ঘন ঘন পানি পান করা, বারবার পায়ের পাতা নাড়ানোর ব্যায়াম ও মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়িয়ে যানবাহনের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করা উচিত। ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিভাগ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ