মুক্তির পরই দেশের বাইরের দুটি উৎসবে অংশ নিয়ে বাজিমাত করেছে তৌকীর আহমেদের নতুন ছবি অজ্ঞাতনামা। কসোভোর চলচ্চিত্র উৎসব ‘দ্য গডেস অন দ্য থ্রোন’-এ সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকার এবং ওয়াশিংটন ডিসির সাউথ এশিয়ান ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেছেন তৌকীর। দেশে ফিরে নতুন চলচ্চিত্র হালদার মহরতও করলেন তিনি। সাম্প্রতিক অর্জনগুলো ও নতুন ছবি শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। দেশের মানুষের ভালোবাসা ও দেশের বাইরের উৎসবে প্রশংসা কেমন লাগছে? কোনো ছবি যখন বিদেশ থেকে সম্মাননা অর্জন করে, তখন দেশের নামটাই বারবার উচ্চারিত হয়। সত্যি বলতে, সেটা দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে যায়। ব্যাপারটা অনেক অনুপ্রেরণা ও আনন্দের। কাজ দর্শক-সমালোচকের ভালো লাগলে পরের কাজের পথটা প্রসারিত হয়। ভিনদেশে ভিন্ন ভাষার দর্শক সিনেমাটা দেখে স্বীকৃতি দিয়েছে, এটা স্বাধীন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য অনেক উৎসাহের। তরুণেরা এখন স্বপ্ন দেখবেন যে একদিন দেশের বাইরের চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁদের ছবিও যাবে। নতুন ছবি ‘হালদা’র শক্তিশালী দিকটি কী? এটি মানুষের ছবি। মানুষের গল্প, জীবনের উদ্যাপনই সব সময় আমাকে টানে। আমাদের বাজেট যেহেতু স্বল্প, তাই আইডিয়া ও কনটেন্টে জোর দিতে চেষ্টা করেছি। না হলে দর্শক টানতে পারব না। অনেকে বলেন, দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দর্শক কম। কারণ কী? ভালো ছবি থাকলে দর্শক এভাবে মুখ ফিরিয়ে নিতেন না। আমাদের ছবিটাকে বুঝে ওঠার আগেই সেটা হল থেকে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। দেশের পরিবেশকেরা আগেই ধরে নেন, বিকল্প ধারার ছবি ব্যবসা করবে না। আমি বিনয়ের সঙ্গেই বলব, এটা ভুল ধারণা। আমার বিশ্বাস, যে ছবিতে মানুষের ও জীবনের গল্প আছে, সেই ছবি ব্যবসা করবেই। গল্পগুলো ঠিকমতো উপস্থাপন করা গেলে দর্শক দেখতে বাধ্য। বাইরের দর্শকদের কাছে কিন্তু ঠিকই প্রশংসিত হচ্ছে। হালদা ছবিতেও কি অনেক তারকা থাকবেন? আমার ছবিগুলোতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সবাই পরীক্ষিত। আমি তাঁদের ওপর আস্থা রাখি। দর্শক তাঁদের কাজে তৃপ্ত হবেন, শিল্পীরাও অভিনয় করে আনন্দ পাবেন। এতে কাজটি ভালো হবে। হালদার নতুন লটের কাজ শুরু হবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.