গরমে পঞ্চাশ থেকে প্রায় ষাট ডিগ্রি উত্তপ্ত ধোঁয়া আর শীতে ০ কিংবা মাইনাস ২ ডিগ্রির তাপমাত্রার ঘনকুয়াশা, কখনো তুষার ঝড়; এমন বৈরিপূর্ণ আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ ধূসর বিস্তৃর্ণ মরুভূমিতে আবদ্ধ দেশ কুয়েত। লবণাক্ত পানি থেকে প্রযুক্তির জোরে আর মেধা খাটিয়ে তৈরি হচ্ছে মিঠা পানি। তারপরও কুয়েত সরকার কৃষিখাতে ভর্তুকি দিচ্ছেন, যা অকল্পনীয়।
কুয়েতে বাংলাদেশিরাও মরু বিলে সবজি চাষ করছেন। যে অঞ্চলটিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে, তার নাম দেয়া হয়েছে অফরা কৃষি ফার্ম। মরুভূমির বুকে সবুজে ঘেরা এ অঞ্চলকে মিনি বাংলাদেশ বলা যায়। শুধু এ ফার্মটিই নয়, কুয়েত সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা, কুয়েতিদের উদ্যোগ আর বাংলাদেশির মেধা আর শ্রমে দেশটি এখন সবুজে সাজছে। দেশী বিদেশী নানান ফল মূল চাষ করা হচ্ছে এই মরুভুমিতে।
কুয়েতে দেশী সবজি চাষের রহস্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ছুটিতে বাংলাদেশে গেলে আসার সময় সাথে দেশি লাউ, সিম, ঢেঁড়শ, বেগুন, পুইশাকসহ অনেক শাক সবজির বীজ নিয়ে আসেন। পরে ধূসর মরুভূমির বালুতে সেই বীজ বুনেন তারা। বাংলাদেশী প্রবাসীদের এই অক্লান্ত শ্রমের কারণে সূদুর মরুর দেশে বসেই দেশীয় স্বাদ গ্রহণ করা যাচ্ছে।
নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলাদেশ আমার অহংকার, আমরা গর্বিত বাংলাদেশী। দিন দিন কুয়েতে যে ভাবে সবজি চাষ বেড়ে চলেছে তাতে বাংলাদেশের বীজ কুয়েতে রপ্তানিতে বড় সুযোগ রয়েছে। এই বীজ রপ্তানি হতে পারে দেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে আরেকটি দিক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.