প্রখ্যাত রেকর্ডিস্ট মাহমুদ সাঈদ আহমেদ আর নেই। গতকাল ভোর পাঁচটায় তিনি ইন্তিকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের কালজয়ী অসংখ্য গানের রেকর্ডিস্ট তিনি। সৈয়দ আবদুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, কনকচাঁপাসহ বহু কণ্ঠশিল্পীর অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান রেকর্ডিং তার হাতেই হয়েছে। খান আতাউর রহমানের বিখ্যাত রেকর্ডিং স্টুডিও ‘শ্রুতি’র প্রায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি কাজ করে আসছিলেন। তবে তার আগে তিনি বিএফডিসিতে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছিলেন। প্রখ্যাত সিনেমা নির্মাতা মোহসীনের চাচাতো ভাই তিনি। গতকাল সন্ধ্যাতেই সুরকার-সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানের একটি গান রেকর্ডিংয়ের কথা ছিল তার। মইনুল ইসলাম খান বলেন, আমার সঙ্গে আগের দিন প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়েছে কনকচাঁপার একটি গান রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে। গতকাল সন্ধ্যাতেই গান রেকর্ডিংয়ের জন্য তিনি শিডিউল দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে আর শেষ দেখা হলো না। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। কনকচাঁপা বলেন, আমার অসংখ্য কালজয়ী গানের রেকর্ড তার হাতেই। সর্বশেষ আমার ‘দেবদাস’ গানটি তারই হাতে রেকর্ড করা। এমন গুণী মানুষ এভাবে হঠাৎ চলে যাবেন কল্পনাও করিনি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন এই দোয়াই করি। গতকাল বিকাল চারটায় শ্রুতি রেকর্ডিং স্টুডিওতে প্রথম জানাজার নামাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে সেখানে মরহুমের মরদেহ দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৮শে আগস্ট মাহমুদ সাঈদ আহমেদ হৃদরাগে আক্রান্ত হলে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তার তাকে ভর্তি হতে বললে তিনি বাসায় ফিরে যান। গতকাল সকালে চিকিৎসার জন্য সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এর আগেই তিনি চলে গেলেন পরপারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.