তিন বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে মনোনীত ৩২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১০টায় ওসমানী মিলনায়তনে পুরস্কার পাওয়াদের হাতে পদক তুলে দেবেন। ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র, ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হবে এবং একটি ব্লেজার পরিয়ে দেয়া হবে। হকি তারকা জুম্মন লুসাই গত বছর ইহলোক ত্যাগ করায় তার পক্ষে তার পরিবারের সদস্যরা পদক গ্রহণ করবেন। ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নামকরা ক্রীড়াবিদ, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণমান্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিন্ত্রী বীরেন শিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকছেন- যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল। স্বাগতক বক্তব্য দেবেন যুব ও ক্রীড়া সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ। ২০১৩ সালে একসঙ্গে তিন বছরের (২০১০, ’১১ ও ’১২) জন্য ৩৩ জনের নাম মনোনীত করে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সভা করে চট্টগ্রামের পটিয়ার এমপি শামসুল হক চৌধুরীর নাম বাদ দিয়ে ৩২ ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে পুরস্কার প্রদানের সুপারিশ করে সারসংক্ষেপ তৈরি করে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য ১৯৭৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রবর্তন করেন। ওই বছর আটজনকে দেয়া হয়েছিল ক্রীড়া পুরস্কার। ছয় বছর নিয়মিত দেয়ার পর ১৯৮২ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান। ১৯৯৬ সালে আবার শুরু হয় পুরস্কার প্রদান। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৯৮ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক পেয়েছেন এ পুরস্কার। কিন্তু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হ্যান্ডবুকে পাওয়া গেছে ১৯৭ জনের নাম। ২০০৮ সালে সাবেক সেনাপ্রধান ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জেনারেল মইনইউ আহমেদকে পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু হ্যান্ডবুক থেকে হাপিস হয়ে গেছে জেনারেল মইনের নাম।
২০১০ সালের জন্য মনোনীতরা হলেন- সাঁতারু মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার হারুন অর রশিদ ও নায়েক মো. তকবির হোসেন (মরণোত্তর), শুটার আতিকুর রহমান, অ্যাথলেট ফরিদ উদ্দিন খান চৌধুরী, মাহমুদা বেগম ও নেলী জেসমিন, স্পেশাল অলিম্পিকের অ্যাথলেট নিপা বোস, জিমন্যাস্ট দেওয়ান নজরুল ইসলাম, সংগঠক মিজানুর রহমান মানু (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন) ও এএসএম আলী কবির (সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন)।
২০১১ সালের জন্য মনোনীতরা হলেন-
খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট) : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ১৯৭৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে জাতীয় দলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। জাতীয় দলের উইকেটকিপার ও ডান-হাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাইলট ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি বিজয়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম নায়ক ছিলেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তিনি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ এবং একই টুর্নামেন্টে সেরা উইকেটকিপার নির্বাচিত হন। তিনি এশিয়ার সেরা এবং আইসিসি ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সেরা উইকেটকিপার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিনি ঢাকা লীগে অধিনায়কত্বসহ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩ বছর রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১২৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ৪৪টি টেস্ট ম্যাচে খেলেছেন। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ২০১১ সালে ঘরোয়া ক্রিকট থেকে অবসর নেন পাইলট।
রওশন আরা ছবি (জিমন্যাস্টিক্স) : বেগম রওশন আরা ছবি
১৯৬৬ সালের ১ মে দিনাজপুর জেলায় জন্ম নেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জিমন্যাস্টিক্সে ২২টি স্বর্ণ, ১০টি রুপা ও ৭টি ব্রোঞ্জসহ ৩৯টি পদক জেতেন। একাধিকবার ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপও হয়েছেন। দিনাজপুর মহিলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদিকা, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য ছিলেন ছবি। ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিভাগের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে পুরস্কার পান। বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের একজন সদস্য তিনি।
সার্জেন্ট (অব.) মো. কাঞ্চল আলী (বক্সিং) : সার্জেন্ট মো. কাঞ্চন আলী (অব.) ১৯৫৬ সালের ১০ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাতীয় বক্সিংয়ে ১২টি স্বর্ণ ও দু’টি রুপা পেয়েছেন। ১৯৮২ সালে ওয়ার্ল্ড থাইল্যান্ডে কিং কাপ বক্সিং ও ১৯৮২ সালে নয়াদিল্লেিত নবম এশিয়ান গেমসে অংশ নেন। এছাড়া ১৯৮৭ সালে ভারতের কলকতায় চতুর্থ সাফ গেমসে রুপা, ১৯৮৫ সালে ঢাকা, ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে এবং ১৯৯১ সালে শ্রীলংকা সাফ গেমসে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।
সুবেদার হাজী মো. আশরাফ আলী (কুস্তি) : সুবেদার হাজী মো. আশরাফ আলী ১৯৬২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলায় জন্ম নেন। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বিডিআর কুস্তি দলে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত কুস্তিতে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে ১৪টি স্বর্ণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনটি ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন। তিনি পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, দুবাই, শ্রীলংকা ও তাজিকিস্তানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
হেলেনা খান ইভা (ভলিবল) : ভলিবল খেলোয়াড় বেগম হেলেনা খান (ইভা) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বাংলাদেশ গেমসে তার খেলোয়াড়ি জীবন শুরু হয়। বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন তাকে সাতবার শ্রেষ্ঠ মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন পাঁচবার শ্রেষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে পুরস্কৃত করেন।
কাবাডি ফেডারেশন ইভাকে তিনবার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত করেছে। ১৯৮৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন হ্যান্ডবলের সেরা গোলদাতার পুরস্কার দেয় তাকে।
রবিউল ইসলাম ওরফে ফটিক দত্ত (শরীর গঠন) : মো. রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত) ১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শরীর গঠন ও ভারোত্তোলনে বাংলাদেশের সর্বাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ। ১৯৮২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় ভারোত্তোলন ৭০ কেজি বিভাগে স্বর্ণপদক, শরীর গঠনে মিস্টার এশিয়া প্রতিযোগিতায় সপ্তম, ১৭ (সতের) বার মিস্টার বাংলাদেশ এবং পাঁচবার মিস্টার বাটা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশ আনসারের শরীর গঠন ও ভারোত্তোলনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ও শরীর গঠন প্রতিযোগিতায় টিম ম্যানেজার, প্রশিক্ষক ও বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির পদকও জিতেছেন।
শহীদ শেখ কামাল (ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক) : শহীদ শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। শৈশব থেকে তিনি খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহী ছিলেন। দেশের ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার মানোন্নয়নে তার শ্রম ও অবদান ছিল অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য ২৫ মার্চ রাতেই বাড়ি থেকে চলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধকালীন সময়ে লেফটেন্যান্ট হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ রাতে পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তিনিও নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তিনি আজীবন খেলাধূলার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। শেখ কামাল দেশের আধুনিক ফুটবলের সুতিকাগার আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা।
জুম্মান লুসাই (হকি) : জুম্মান লুসাই ১৯৬৩ সালের ১২ আগস্ট সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশ দলের হয়ে তার খেলোয়াড়ি জীবন শুরু। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি আবাহনীর নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৮৪, ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে ভারতে বাটন কাপ হকি টুর্নামেন্টে অংশ নেন জুম্মন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের হয়ে ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও কোরিয়াসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপ হকিতে এবং ১৯৮৫ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব একাদশ ও পাকিস্তান একাদশের’ খেলায় বাংলাদেশের একমাত্র হকি খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব একাদশের হয়ে অংশ নেন তিন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ইহলোক ত্যাগ করেন এই প্রথিতযশা হকি খেলোয়াড়।
কুতুব উদ্দিন আকসির (ক্রীড়া সংগঠক) : কুতুব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (আকসির) ১৯৪৭ সালের ৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি, এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য ২০০২ সালে কোরিয়ায় এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ স্যুটিং টিমের ম্যানেজার ছিলেন। ২০০৬ সালে কাতারের দোহায় এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ দলের ‘শেফ দ্য মিশন’ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আকসির বর্তমানে ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আশিকুর রহমান মিকু (ক্রীড়া সংগঠক) : আশিকুর রহমান মিকু ১৯৫৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হ্যান্ডবল ও টেনিস ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ও নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব এবং বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১২ সালের জন্য মনোনীতরা হলেন-
মো. মহসীন (ফুটবল) : মো. মহসীন ১৯৬১ সালের ৩ এপ্রিল রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন এবং ১৯৮২ সালে এই ক্লাবে খেলেই অবসর নেন। ১৯৭৩ সালে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে ট্রিপল হ্যাটট্রিকসহ ৩৯ গোল, ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগে ডাবল হ্যাটট্রিকসহ ২৪ গোল এবং ১৯৮১ সালে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে হ্যাটট্রিকসহ ২১ গোল করে সর্বাধিক গোলদাতা হন। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাঁচটি গোল করেন। মো. মহসীন ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ যুব ফুটবল এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে মালয়েশিয়ায় ফিফা সলিডারিটি কোর্সে অংশ নেন। সিটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
খুরশিদ আলম বাবুল (ফুটবল) : মো. খুরশিদ আলম বাবুল ১৯৫৭ সালের ১ মার্চ ঢাকা জেলায় জন্ম নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে ঢাকা ভিক্টোরিয়া, ১৯৭৭-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা আবাহনী এবং ১৯৮৭-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৭৫-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। বাবুল ১৯৮৩ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৯২ থেকে ২০০২ এবং ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কাপে ফিফা কংগ্রেসে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। মো. খুরশিদ আলম বাবুল ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদদ্যালয় ‘ব্লু’ পান। ক্রীড়া সাংবাদিক সমিতির সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন খুরশিদ বাবুল।
আশীষ ভদ্র (ফুটবল) : ফুটবলার আশীষ ভদ্র ১৯৬০ সালের ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে কেকেআরসিতে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। ১৯৭৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে রহমতগঞ্জ, ঢাকা আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডানে খেলেছেন। ১৯৭৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ যুব ফুটবল দল ও জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম সদস্যও ছিলেন আশীষ। ১৯৭৮, ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস ও ১৯৮২ সালে প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ বাছাই পর্বে অংশ নেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন আশীষ ভদ্র।
সত্যজিৎ দাস রুপু (ফুটবল) : সত্যজিৎ দাস রুপু ১৯৬৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণকরেন। ১৯৮৪-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ফরাশগঞ্জ, আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। তার অধিনায়কত্বে ঢাকা আবাহনী ক্রীড়াচক্র লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও স্বাধীনতা কাপ, আজমেরী বেগম গোল্ডকাপ, বিটিসি ক্লাব কাপ, ভারতের কেরালায় নাগজি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। রুপু ১৯৮৫-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিয়মিত ফুটবলার এবং ১৯৯৫ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ আবদুল গাফফার (ফুটবল) : জাতীয় ফুটবলার মোহাম্মদ আবদুল গাফফার ১৯৫৭ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে ১৯৭৭ সালে শান্তিনগরে, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সে খেলেছেন। ১৯৮০-১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে ঢাকা মোহামেডান, ১৯৮৩-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা আবাহনীর খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৭৮-১৯৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় যুব ফুটবল এবং ১৯৮১-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন গাফফার। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে নেপালে সাফ গেমস ফুটবলে প্রথম স্বর্ণপদকজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন। বর্তমানে লে. শেখ জামাল ক্লাবের অন্যতম পরিচালক আবদুল গাফফার।
ফিরোজা খাতুন (অ্যাথলেটিক্স) : অ্যাথলেট বেগম ফিরোজা খাতুন ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিয়ে চারটি স্বর্ণপদক পান। বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী হয়েছেন দশবার। বেগম ফিরোজা খাতুন ১৯৮৭ সালে ভারতে তৃতীয় সাফ গেমস, ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে চতুর্থ সাফ গেমস, ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কায় পঞ্চম সাফ গেমস, ১৯৯৩ সালে ঢাকায় ষষ্ঠ সাফ গেমসে অংশ নেন। ১৯৯৩ সালে ইরানে ওয়ার্ল্ড মহিলা ইসলামিক গেমস, ১৯৮৯ সালে ভারতের অনুষ্ঠিত ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিট, ১৯৯১ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৯৮৫ সালে জাপানে এাশিয়ান গেমস ও ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানে ওয়ার্ল্ড মহিলা ইসলামিক গেমসে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ১০০ মিটার হার্ডলসে রুপা জেতেন।
নাজিয়া আখতার যুথি (ব্যাডমিন্টন) : বেগম নাজিয়া আখতার যুথি ১৯৬৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় জুনিয়র ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় ১৯৭৯-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত একক ও দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ১৯৮৬ সালে রংপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় মহিলা একক ও দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন ও মিশ্র দ্বৈতে রানার আপ হন।
১৯৯২-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ গেমসে মহিলা দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে স্বর্ণপদক পান। ১৯৮২-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিমান আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় এবং ১৯৮৬ সালে রংপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় ব্যাডমিন্টন এবং ১৯৭৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সমসয়ের মহিলা একক, মহিলা দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ হন।
কাজী রাজিব উদ্দীন আহমেদ চপল (ক্রীড়া সংগঠক) : কাজী রাজিব উদ্দীন আহমেদ চপল ১৯৬৩ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২০০১ সালে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করে অদ্যাবধি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে এশিয়ান খো খো ফেডারেশন এবং সাউথ এশিয়ান আরচারি ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ইসলামিক সলিডারিটি স্পোর্টস ফেডারেশন, আন্তর্জাতিক সেপাক-টাকরো ফেডারেশনের নির্বাচিত অ্যাগজেকিউটিভ বোর্ড মেম্বার এবং ওয়ার্ল্ড আরচারি এশিয়ার নির্বাচিত কাউন্সিল সদস্য। ১৯৯৮- ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনেরও কোষাধ্যক্ষ তিনি।
সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট) : সাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম অলরাউন্ডার তিনি। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান এবং স্লো বাঁ-হাতি বোলার সাকিব। ২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় এবং একই বছরের মে মাসে ভারতের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম টেস্ট খেলেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার যিনি আইসিসির টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার র্যাংকিংয়ে সেরা অলরাউন্ডারের বিরল গৌরব অর্জন করেন। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আগস্ট ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের নভেম্বরে ‘দ্য উইজডেন ক্রিকেটার ম্যাগাজিন’ সাকিবকে ‘টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে মনোনীত করে।
আ ন ম মামুন উর রশিদ (হকি) : আ ন ম মামুন উর রশিদ ১৯৭০ সালের ৩ আগস্ট জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৯-২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ হকি দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন এবং ২০০টি আন্তর্জাতিক হকি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯৫-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় হকি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়া একাদশে খেলার সুযোগ পান। ১৯৯৮ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের পতাকা বহন করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সমিতির সেরা হকি খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
উম্মে সালমা রফিক (অ্যাথলেট ও ক্রীড়া সাংবাদিক) : উম্মে সালমা রফিক ১৯৫২ সালের ৯ জুলাই ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। একজন খ্যাতনামা অ্যাথলেট ছিলেন তিনি। জাতীয় পর্যায়ে হার্ডলস, শটপুট ও ডিসকাস থ্রোতে বিভিন্ন সমসয়ে স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন সালমা রফিক। ১৯৭৭ থেকে টানা ৩২ বছর তিনি ক্রীড়া সাংবাদিকতায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮১ সালে প্রথম এশিয়া মহিলা হকি টুর্নামেন্ট, ১৯৯০ সালে এশিয়ান গেমস, ১৯৯১ সালে সাফ গেমস, ১৯৯৭ সালে ইসলামিক গেমস, ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমস, ২০০৭ সালের প্রথম ইন্দো-বাংলা গেমস ও ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ইসলামিক মহিলা ক্রীড়া সম্মেলনে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ২০০৩ সালে বিশ্ব সাংবাদিক দিবসে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সম্মাননা পদক এবং ২০১১ সালে জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক সুলতানা কামাল স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার অর্জন করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৯ সালের ৯ মে মৃত্যুবরণ করেন সালমা রফিক।
নুরুল আলম চৌধুরী (ক্রীড়া সংগঠক) : নুরুল আলম চৌধুরী ১৯৫৮ সালেল ১৭ মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ থেকে ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তিনি। ২০০১ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্লাবকে সুসংগঠিত করেন। শেখ রাসেল ফুটবল দল তার নেতৃত্বে মাত্র দু’মৌসুমেই দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রিমিয়ারে ওঠে আসে। তার দায়িত্ব পালনকালীন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ২০১২-২০১৩ সালে ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা দিবস কাপ, বাংলাদেশ লীগে চ্যাম্পিয়ন এবং সুপার কাপে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করে। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র টেবিল টেনিস দল গঠন করে এবং ২০১২ মৌসুম পর্যন্ত একনাগাড়ে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন বর্ষসেরা ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কৃত করে নুরুল আলম চৌধুরীকে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.