দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এই রায় দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেন, দুই মাসের জন্য হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর কর আরোপে সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যে কর আদায় করা হয়েছে তা ফেরতের নির্দেশও দেন আদালত।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের ৪৪(৪) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক নয়, তাদের উদ্ভুত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনঃনির্ধারণ করল। পরে ২০১০ সালে পূর্বের প্রজ্ঞাপন রহিত করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বা কেবল তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ এর উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর হ্রাস করে ১৫ শতাংশ করা হল।
সরকারের জারি করা ২০০৭ সালের প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত একই বছর ২ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও মোট ৪৬টি রিট দায়ের করে। সবগুলো আবেদন একত্রে শুনানি শেষে ৫ সেপ্টেম্বর আদালত তা অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.