ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে ৪ উইকেটে হারলো বিসিবি একাদশ। তবে জাতীয় দলে উপেক্ষিত ও তরুণ খেলোয়াড়রা দেখালেন দারুণ নৈপুণ্য। ভালো খেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র এক ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েস তুলে নেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। আর এক ম্যাচেও সুযোগ না পাওয়া নাসির হোসেন খেলেন ৪৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস। অন্যদিকে নিয়মিত দলে সুযোগ পাওয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেও ব্যর্থ হন। তিনি ফেরেন ৭ রানে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গতকাল টস জিতে আগে ব্যাটে গিয়ে বিসিবি একাদশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান। জবাবে ২৩ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড একাদশ। বড় টার্গেট সামনে নিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। জেসন রয় ও জেমস ভিঞ্চি ৮.৩০ রানরেটে ৮.৪ ওভারে যোগ করেন ৭২ রান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসমানের তাণ্ডবে তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বিসিবি একাদশের বোলারদের। এ সময় অধিনায়ক নাসির হোসেন বল তুলে দেন নবাগত বোলার এবাদত হোসেনের হাতে। রবি পেসার হান্টের এবারের আবিষ্কার এবাদত। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারেই চমক দেখান তিনি। ব্যক্তিগত চতুর্থ বলেই ফিরিয়ে দেন জেসন রয়কে (২৮ রান)। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে ৬ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে এবার ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভিঞ্চিকে। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত শুরু করেন এবাদত। তার জোড়া আঘাতের পর খেলায় ফেরে বিসিবি একাদশ। ১৪৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ব্যাটে ঝড় তোলেন জস বাটলার ও মঈন আলী। ১৬.৫ ওভারে ১৩৯ রান যোগ করে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। জয় নিশ্চিত হওয়ার মাত্র এক রান আগে মঈন আলী ফেরেন ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৫১ বলে ৭০ রানে। তবে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৬৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার। সম্প্রতি শেষ হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলেন ইমরুল কায়েস। করেন ৩৭ রান। এ ম্যাচে ভাল করলেও পরের দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ হওয়া সিরিজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিলেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচ মিলিয়ে করেন ৩১ রান। তাকে একাদশে রাখা নিয়ে দর্শকদের ছিল নানা প্রশ্ন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে দু’জন দেখালেন ভিন্ন নৈপুণ্য। উপেক্ষিত সেই ইমরুল হাঁকালেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন। যাকে একাদশে রাখা নিয়ে বিতর্ক সেই সৌম্য প্রস্তুতিমূলক ম্যাচেও হলেন চরম ব্যর্থ। ১৩ বলে মাত্র ৭ রানে ফেরেন তিনি। কিন্তু অবিচল ইমরুল ৬ ছক্কা ও ১১ চারে ৯১ বলে খেলেন ১২১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের দলে বরাবর উপেক্ষিত আরেক খেলোয়াড় নাসির হোসেন ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৫ বলে খেলেন ৪৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আর হঠাৎ করে বিসিবি একাদশে খেলতে নামা মুশফিকুর রহীম করেন ৫৭ বলে ৫১ রান। বিসিবি’র একাদশে আগেরদিনও নাম ছিল না মুশফিকের। কিন্তু তার একান্ত ইচ্ছায় প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.