১৮৯৫ সালের কথা।মঙ্গল রাম সরকার নামে এক ব্যক্তি অনুভব করলেন পাড়ায় একটিও পূজা মন্ডপ নেই।
তাই তিনি পাড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পালপাড়া এলাকায় তৈরি করলেন ‘শ্রী শ্রী মঙ্গল ভবন পূজা মন্ডপ’।
যা বর্তমানে নগেন্দ্র বাড়ি পূজা মন্ডপ নামেই পরিচিত।এই পূজা মন্ডপেই শৈশব কাটিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান প্রধান অর্থনীতিবিধ বিরুপাক্ষ পালসহ অনেক গুণী ব্যক্তিরা।
দেবী দূর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতে শক্তি প্রতিষ্ঠা হবে।এ বিশ্বাস নিয়ে বরাবরের ন্যায় এ বছরও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় পালিত হচ্ছে নগেন্দ্র বাড়ি পূজা মন্ডপের দূর্গা উৎসব।
১২১ বছরের পুরাতন মন্ডপ বলে কথা।তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেবী দুর্গার আর্শীবাদ লাভের জন্য এই মন্ডপেই সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে বিভিন্ন বয়সের ভক্তদের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও পুরাতন দুর্গা মন্ডপ এটি।তাই ভক্তদের আকর্ষন একটু বেশিই এই নগেন্দ্র বাড়ি পূজা মন্ডপ কে ঘিরে।
আর প্রতি বছরই এই মন্ডপে দেশীয় সংস্কৃতির প্রাধান্য পেয়ে থাকে এখানে।এই মন্ডপের দূর্গা উৎসব শুধু সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।
অন্যান্য ধর্মালম্বীর মানুষরাও এই পূজা মন্ডপ দেখতে আসেন। তাই সকল ধর্মের মানুষের মেলবন্ধন দেখা যায় এই মন্ডপে।পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর দেশে সার্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে মন্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পুলিশ, আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ২২ সদস্য বিশিষ্ট সেচ্ছাসেবক দলও ভক্তবৃন্দের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন।নগেন্দ্র বাড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র পাল বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পূজা মন্ডপ।
তাই আমরা চেষ্টা করছি এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য। আশা করি এবছর আমরা সফলভাবে আমদের দূর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারবো।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.