ছবি : ফোকাস বাংলা
বিভিন্ন বিষয়ে আজ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশ এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করে। এর আগে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেই উদ্বোধন করা হয়েছে ছয়টি প্রকল্পের।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুদিনের সফরে চীনের প্রেসিডেন্টের বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে শি জিনপিংকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বিকেল ৩টার কিছু পরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষ হয় ৪টার কিছু পর। এরপর দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেন।
চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, কর্ণফুলী নদীর বহুমুখী টানেল, এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা ও চট্টগ্রামে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার এবং শাহজালাল সার কারখানা।
এর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সই করেন অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি। শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু সই করেন উৎপাদনশীলতা সহযোগিতা চুক্তি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পক্ষ থেকে করা হয় কর্ণফুলী টানেল, দাশেরকান্দি পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং ছয়টি জাহাজ সম্পর্কিত মোট চারটি ঋণচুক্তি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের একটি সমঝোতা স্মারক সই করেন। সন্ত্রাস দমনে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতায় একটি সমঝোতা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত ১৯৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অর্থনৈতিক চুক্তি বিনিময় হওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, চায়না ইকোনমিক জোন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত করা এবং হ্যালো চায়না ব্রডকাস্টিং লাইসেন্স প্রটোকল। আর বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টিভি স্টেশন শক্তিশালী করতেও হয়েছে চারটি সমঝোতা।
এ ছাড়া সমুদ্রসীমা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবতর্নের ঝুঁকি মোকাবিলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে আরো ছয়টি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট আগামীকাল সকাল ১০টায় ভারতের গোয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.