ওয়ানডে দল আসার তিনদিন পরই চলে আসেন টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। তার ২০ দিন আগে চলে আসার উদ্দেশ্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। কারণ টেস্ট শুরুর আগে তাকে আবার ফিরতে হবে ইংল্যান্ডে। হাসপাতালে তার স্ত্রী সন্তান জন্মের অপেক্ষায়। বাংলাদেশে নেমে টানা অনুশীলন করে ঘুরে এসেছেন দেশ থেকে। দেখে এসেছেন সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তানের মুখ। অবশ্য বিমান জটিলতায় তার চট্টগ্রামে টেস্টের আগে ফেরা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এমন হয়েছিল অনুশীলন ছাড়াই তাকে মাঠে নেমে যেতে হতো। কিন্তু তা নিয়ে ভয় ছিল না দলের। কারণ উপমহাদেশের কন্ডিশনে কুক এতটাই পরিচিত যে, তার জন্য মানিয়ে নেয়া কোনো বিষয় নয়। কিন্তু সেই কুকই জানালেন এখানে তার সবচেয়ে বেশি ভয় কন্ডিশন। তিনি বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে আপনার নিজের মানিয়ে নেয়ার পরীক্ষা, যেখানকার পরিবেশ ইংলিশ খেলোয়াড়দের জন্য একেবারেই আলাদা। আমার মনে পড়ছে না উপমহাদেশে কখনো টানা ১০ সপ্তাহ কাটিয়েছি।’ বাংলাদেশে আসার পর থেকে ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল কন্ডিশন। বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও ঘুরেফিরে এসেছিল ‘কন্ডিশন’ শব্দটি। উপমহাদেশের আবহাওয়া সব সময়ই ইংলিশদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের বলেই এত আলোচনা। কুক বলেন, ‘এখানকার উইকেট ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো নয়। একটা সেশনেই ঘুরে যেতে পারে খেলার মোড়। এক কথায় এখানকার কন্ডিশন আমাদের বিপরীত। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দেখবেন অনেক উইকেট হারিয়ে বসে আছেন। প্রথম তিন-চারদিনের ক্রিকেট এখানে খুব কঠিন, এর পর তো পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়।’ কুক দেশের হয়ে ১৩৩ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে রেকর্ড ছুঁয়েছেন স্বদেশী অ্যালেক স্টুয়ার্টের। বাংলাদেশে তার কন্ডিশনের সঙ্গে যুদ্ধ করে মানিয়ে নেয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভারত সফর। বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ শেষ করেই ভারত যেতে হবে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। ভারত আর বাংলাদেশের কন্ডিশনে খুব পার্থক্য নেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.