জন্ডিসের অন্যতম কারণ হেপাটাইটিস গোত্রের ভাইরাস। নানা ধরনের হেপাটাইটিস ভাইরাসের মধ্যে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যকৃতের দীর্ঘমেয়াদি রোগের (ক্রনিক লিভার ডিজিজ) আশঙ্কা থাকে। এতে যকৃতের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে আসতে থাকে, একসময় যকৃৎ পুরোপুরি অকেজো হয়ে গিয়ে রোগীর অকালমৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি এই সংক্রমণ থেকে যকৃতের ক্যানসারও হতে পারে। এত সব জটিলতা এড়াতে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নিয়ে নিন। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা একবার পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে আজীবন সুরক্ষা পাওয়া যায়। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন, কোন বয়সে এই টিকা নিতে হয়, কয়বার নিতে হয় বা কয়টা ডোজ আছে? জেনে নিন এ বিষয়ে: * জন্মের পর থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ এ টিকা নিতে পারেন। তবে ইতিমধ্যেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে টিকা নেওয়া যাবে না। তাই টিকা নেওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে শরীরে ইতিমধ্যেই ভাইরাসটি বাসা বাঁধেনি। * প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার এক মাস পর দ্বিতীয়টি এবং প্রথম ডোজ নেওয়ার দিন থেকে ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজটি নিতে হয়। তিনটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয় যে টিকা নেওয়ার ফলে রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে কি না। তিনটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যাপ্ত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে পাঁচ বছর পর চতুর্থ ডোজ (বুস্টার ডোজ) নিতে হয়। কারা এই টিকা নিতে পারবেন না? হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও গর্ভবতী নারী এই টিকা নিতে পারবেন না। একবার হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়ার পর যাঁর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, তাঁকেও পরবর্তী ডোজগুলো আর দেওয়া হয় না। যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের এ সময়টাতে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা দেওয়া হয় না। অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: চোখে ধুলাবালি বা ময়লা পড়লে কী করা উচিত? উত্তর: চোখে হঠাৎ ধুলাবালি বা ময়লা পড়লে রগড়াবেন না। বারবার চোখের পাতা বন্ধ করুন ও খুলুন। এতে ময়লা আপনা থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে। পানির ঝাপটা দিয়েও চোখ পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে পারেন। ডা. পূরবী রানী দেবনাথ চক্ষুবিভাগ, বারডেম হাসপাতাল স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ ক্যানসারের বিরুদ্ধে আমরা কি জয়লাভ করছি? বেশ কিছু বিকল্প চিকিৎসা ইতিমধ্যে ক্যানসারের চিকিৎসায় সম্ভাবনা জাগিয়েছে। এসবের মধ্যে ভাইরোথেরাপি প্রথম স্থানে আছে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৯৫০ সালের পর এই হার মাত্র ৫% কমেছে। তবে ফুসফুস, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসারের হার বেড়েছে। ‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়