সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) প্রাঙ্গণ। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলবদ্ধ হয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে ল্যাপটপ, কারও পকেটে পেনড্রাইভ। তবে নজর কাড়ে সবার বুদ্ধিদীপ্ত চাহনি। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য ইএটিএল ও প্রথম আলো আয়োজিত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) তৈরির প্রতিযোগিতায় বিচারকদের সামনে নিজেদের ধারণাপত্র তুলে ধরতে এসেছেন তাঁরা। সকাল থেকে বিকেল অবধি প্রতিযোগী দলগুলো নিজেদের অ্যাপ তুলে ধরে ৩৬ জন বিচারকের সামনে। গতকাল শনিবার ‘ইএটিএল-প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০১৬’-এর প্রাথমিক বাছাইপর্বে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
গেমস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংবাদ, ভ্রমণ, ই-কমার্স, ইউটিলিটি, বিনোদন, রান্নাবান্না ইত্যাদি নানা বিষয়ে অ্যাপের ধারণাপত্র আগেই জমা দিয়েছিলেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ধারণাপত্রগুলো অ্যাপের কাঠামোতে কেমন দেখাবে প্রতিযোগীরা গতকাল তা-ই দেখান বিচারকদের। প্রতিযোগিতার বিচারকাজের সমন্বয়কারী রাজেশ পালিত বলেন, ‘এবার কাজের বেশ কিছু অ্যাপের ধারণা পাওয়া গেছে। পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত অ্যাপগুলোর তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’ এই নির্বাচিত অ্যাপগুলো নিয়ে আগামী মাসের শুরুর দিকে গ্রুমিং পর্বের আয়োজন করা হবে। এরপর দলগুলো অ্যাপ বানাবে। সব শেষে হবে চূড়ান্ত বিচারকাজ।
সারাদিনের এ আয়োজন পরিদর্শন করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জে্যষ্ঠ সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোখলেসুর রহমানসহ অনেকে। সকালে প্রাথমিক বাছাইপর্ব শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন আহমেদ।
গত ২৪ মে থেকে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। আগামী বছরের মার্চ মাসে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের আয়োজন। প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্বব্যাংক ও কানাডা। অংশীদার হিসেবে আছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং চ্যানেল আই।