স্থবিরতা দেখা দিয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের কাজে। দুই সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদ ফাঁকা প্রায় পাঁচ মাস। এ সময়ে ১৩৯টি মামলা নথিভুক্ত হলেও গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হচ্ছে না। আবার চেয়ারম্যানের আদালতের মামলার বিচারও বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়ছে মামলাজট।
গেল জুনে শেষ হয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদার দায়িত্বের মেয়াদ। ফলে দুই সদস্যের এই ট্রাইব্যুনাল এখন কার্যত স্থবির। পাঁচ মাসে ট্রাইব্যুনালে আপিলের জন্য নথিভুক্ত হয়েছে ১৩৯টি মামলা। কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় এসব মামলার গ্রহনযোগ্যতা শুনানিই হয়নি। অন্য সদস্যের শুনানি করার ক্ষমতা থাকলেও তিনি তা করছেন না।
ট্রাইব্যুনালের নথি থেকে জানা গেছে গত অক্টোবরে ট্রাইব্যুনালে ৩১টি মামলা হয়েছে। বিপরীতে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র সাতটি। আবার বিচারাধীন ছয়শ একান্ন মামলার মধ্যে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত আছে ২শো ৯৬টি।
মামলাজট রয়েছে দেশের সাতটি শ্রম আদালতেও। এসব আদালতে গেল মাসে ৪শো ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও নতুন করে দায়ের হয়েছে ছয়শোর বেশি। সব মিলিয়ে সাত আদালতে ঝুলছে প্রায় ১৬ হাজার মামলা।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য আবেদন আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রংপুর, গাজীপুর ও সিলেটে তিনটি নতুন শ্রম আদালত স্থাপনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলেও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.