জানা গেছে, সুমনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাদ্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল জব্বার। তিনি উত্তরখান মাদারবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি বেকারিতে ভ্যানচালক হিসেবে কাজ করতেন। গত সোমবার রাতে তাগাদার জন্য বাসা থেকে বের হন। এরপর রাতে পরিবারের লোকজন তার মৃত্যুর খবর পান। সুমনের শ্যালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত সে ব্যাপারে কোনো ধারণা করতে পারেনি তারা।
উত্তরখান থানার এসআই তারিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাতে কে বা কারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে রাখে। স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের অপমৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর কাফরুলে ৬তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে জুয়েল (৪৭) ও যাত্রাবাড়িতে ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্মৃতি আক্তার (১৪) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
কাফরুল থানা সূত্র জানায়, জুয়েল উত্তর কাফরুলের ৪৯৬/৩ নাম্বার বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি ৬তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, জুয়েলের মানসিক সমস্যা ছিল। তবে তিনি কিভাবে ছাদ থেকে পড়ে গেলেন তা জানেন না বলে দাবি করেছেন তার ছোটো বোন।
অপরদিকে যাত্রাবাড়ি নামাপাড়া ছোবাপট্টি রেললাইন বস্তিতে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে স্মৃতি আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর লাশ। গত সোমবার রাতে সে ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় বলে দাবি করেছে পরিবারের লোকজন। স্মৃতির বড় বোন আফসানা আক্তার জানান, তাদের বাবা আব্দুল হালিম অনেক আগেই মারা গেছেন। মা মমতাজ বেগমসহ ৩ ভাই ৩ বোন মিলে রেললাইন বস্তিতে তারা বসবাস করেন। স্মৃতি খুব জেদি ছিল। পড়ালেখাও করতো না। কারো কথাও শুনতো না। তবে কি কারণে ফাঁসি দিয়েছে তা পরিবারের লোকজন বুঝতে পারছে না।