সাঈদ খোকন বলেন, ‘রাজধানীর হকার ব্যবস্থাপনা করতে আইডি কার্ডের প্রস্তাব এসেছে। আমরা সেটা চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছি।’
তিনি জানান, শুক্রবারের পাশাপাশি শনিবারও হলিডে মার্কেট চালুর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শনিবার যেসব এলাকায় অফিস-আদালত ছুটি সেসব এলাকায় হলিডে মার্কেট চালু করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সাময়িকভাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে হকাররা ফুটপাতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু সাপ্তাহিক কর্মদিবসে দিনের বেলায় ফুটপাত এবং রাস্তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কর্মদিবসে দিনের বেলায় গুলিস্তান ও তার আশপাশের এলাকায় কোনো হকার বসতে দেয়া হবে না। এটা আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
ডিএসসিসি মেয়র জানান, এ সিদ্ধান্ত আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে। যদি কোনো হকার এ সিদ্ধান্ত অমান্য করেন তাহলে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসময় রাজধানীর হকাররা পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, হকারদের মধ্যে কেউ বিদেশ যেতে চাইলে আর্থিক এবং আইনগতভাবে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও সহায়তা দেয়া হবে।
এসময় সাঈদ খোকন বলেন, ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে লাইনম্যান নামধারী এক শ্রেণী চাঁদা উঠিয়ে নিচ্ছে। তারা সরকারের কেউ নন, আসলেই ওরা চাঁদাবাজ। হকার নেতাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী ডিএসসিসির পক্ষ থেকে ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম কে বখতিয়ার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুল ওহাব ভুইয়া, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.