ড্রাগন দেখা গেছে! তাও সমুদ্রের গভীরে। এতদিন ড্রাগন ছিল চীন-জাপানের উপকথায়। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রের ১৬৪ ফুট গভীরে পাঠানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ড্রাগনের মতো সামুদ্রিক প্রাণী
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সি ড্রাগন নামে একটি সামুদ্রিক প্রাণীর অস্তিত্ব আগেই ধরা পড়েছে। কিন্তু এবার ধরা পড়ল লাল রঙের সি ড্রাগন। প্রাণীটির পুরো শরীর লাল। একটা লেজও আছে। লেজ নাড়িয়ে প্রাণীটি গভীর সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। লাল বর্ণের কারণে বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছে রুবি সি ড্রাগন।
মেইল অনলাইন জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে গভীর সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া ক্যামেরায় লাল রঙের ওই সি ড্রাগন ধরা পড়ে।
সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক গ্রেগ রাউস। তিনি বলেন, ‘এর আগে দুই ধরনের সি ড্রাগন পেয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল না তৃতীয় আরো একধরনের সি ড্রাগন পাওয়া যাবে।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রঙে ও চলাফেরায় অন্য দুই প্রকার সি ড্রাগনের চেয়ে এটা আলাদা। সি ড্রাগন প্রথম দেখা যায় ১৯১৯ সালে। বিশেষজ্ঞরা এর নাম দিয়েছেন সাধারণ সি ড্রাগন। যার গায়ের রং হলুদ ও বেগুনি।
পরে যে ধরনের সি ড্রাগন দেখা যায় তা সবুজ ও কমলা রঙের। তবে সবুজের আধিক্যই বেশি। সহজেই সবুজ পাতার মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ বোঝাই যায় না আসলে পাতা কোনটা আর সি ড্রাগন কোনটা। এ কারণে একে ‘লিফি’ সি ড্রাগনও বলেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই দুই প্রকার সি ড্রাগনের সঙ্গে সদ্য চোখে পড়া সি ড্রাগনের কিছুটা পার্থক্য আছে। লাল সি ড্রাগনের লেজ আছে তা নাড়াচাড়া করতে পারে ওই প্রাণী। সাধারণ ও লিফি সি ড্রাগনেরও লেজ আছে তবে তা নড়াচড়া করে না। আর ওই দুই সি ড্রাগন এত গভীর সমুদ্রে থাকে না। কিন্তু আবাস হিসেবে গভীর সমুদ্রই পছন্দ লাল সি ড্রাগনের!
রঙের পাশাপাশি দেহের গড়ন ও জীবনধারণ আলাদা হওয়ায় লাল সি ড্রাগন চোখে পড়ার পর রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ নেরিদা উইলসন বলেন, এখনো অনেক কিছু আছে যা আমাদের চোখে পড়েনি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.