টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে দারুণভাবেই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্বেই গত বছর ভারত উঠেছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। এবার মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেও শুরুটা দুর্দান্তভাবে করলেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। চাপের মুখে অসাধারণ ব্যাটিং করে দলের জয়ে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে।
৩৫১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে আনাটা মোটেই সহজ কাজ না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ভারতও সেটা পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অনেকে। বিশেষত প্রথম ১২ ওভারের মধ্যে মাত্র ৬৩ রানের মাথায় চার উইকেট হারানোর পর ভারতের হারটাই নিশ্চিত বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু অসাধারণ এক শতরানের ইনিংস খেলে ভারতকে তিন উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন কোহলি। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে শুরুটাও করেছেন দারুণভাবে।
কোহলি অবশ্য এ জন্য ধন্যবাদ দিতে পারেন কেদার যাদবকে। ৩১ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৭৬ বলে ১২০ রানের ঝড়ো ইনিংস। যা ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে যাদবেরই হাতে। তবে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২২ রানের ইনিংসটি এসেছে কোহলির ব্যাট থেকেই।
৬৩ রানের মাথায় দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, যুবরাজ সিং ও ধোনির উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল ভারত। চাপের মুখে পঞ্চম উইকেটে কোহলি ও যাদব গড়েছিলেন ২০০ রানের জুটি। এই জুটিই ভারতকে নিয়ে গেছে জয়ের পথে।
শতরানের ইনিংস খেলে দুজন সাজঘরে ফিরে গেলেও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি স্বাগতিকদের। শেষপর্যায়ে হার্দিক পান্ডের অপরাজিত ৪০ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে কোহলির দল। ৩৫১ রানের বাধা পেরিয়ে গেছে ১১ বল হাতে রেখেই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জ্যাসন রয়ের ৭৩, জো রুটের ৭৮, বেন স্টোকসের ৬২ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩৫০ রান জমা করেছিল ইংল্যান্ড।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.