ফিল্ডিং মিস বাংলাদেশের আজকের দুশ্চিন্তা নয়। খুব ভালো পারফরম্যান্স চলতে থাকার মধ্যেও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত গলে নিয়মিত ক্যাচ পড়ে। এক তাসকিন আহমেদই এ জন্য শোক করতে পারেন।
এই নিউজিল্যান্ড সফরে ১৮টি ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ক্ষিপ্রতার অভাবে চেষ্টা করতে পারেননি প্রায় তার সমান সংখ্যক ক্যাচ। তবে এবারই প্রথম নয়, সেই আফগানিস্তান সিরিজ থেকে ফিল্ডিং ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।
এবার সেই ভোগান্তির শেষ ঘটাতে চেষ্টা করা হচ্ছে জন্টি রোডসকে আনার। রোডসকে আনার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। সেই ২০০৯ সালে বিশ্বনন্দিত সাবেক এই ফিল্ডারকে আনার চেষ্টার কথা জানিয়েছিল বিসিবি। সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে এবার অনেক বেশি মরিয়া তারা। এরই মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত রোডসের সঙ্গে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, খেলোয়াড়দের শক্ত-পোক্ত করার জন্যও কাজ করবেন রোডস, ‘নিউজিল্যান্ড সফরে আমাদের ক্যাচিং ভালো হয়নি। আমাদের ছেলেরা অনেক সহজ ক্যাচ সেখানে ছেড়েছে। এর সমাধানের কথা আমরা এরই মধ্যে ভেবেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তও হয়েছে। আমরা জন্টি রোডসের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছি।’
এমনকি সাধারণ ডাইভ দিতে গিয়ে খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়াটাও তিনি ফিটনেসের সমস্যা হিসেবে দেখছেন। এটা নিয়েও রোডস কাজ করবেন বলে বলছেন পাপন, ‘নিউজিল্যান্ডে দেখলাম ছেলেরা ডাইভ দিতে গিয়ে চোটে পড়ছে। আপনি যদি রান নিতে গিয়ে বা ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডাইভ দিয়ে চোট পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফিজিক্যাল ফিটনেসে সমস্যা আছে। এটা নিয়েও রোডস কাজ করবেন। তিনি যদি প্রত্যেককে প্রতিদিন ৮/১০টি ডাইভ দেওয়ান তাহলে হয়তো ছেলেরা আরও শক্ত-পোক্ত হবে।’
ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন রিচার্ড হ্যালসল। তার সঙ্গে যোগ হতে পারেন রোডস। তবে কবে নাগাদ তিনি কাজ শুরু করবেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি বিসিবি প্রধান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ২৪৫টি ওয়ানডে খেলা রোডস এখন ভারতের আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচ। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের সঙ্গে ১০ দিনের একটি ক্যাম্প করেছিলেন তিনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.