ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চতুর্থ ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে ২১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের চুক্তি হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর রাজেশ্বরী পারালকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জাতীয় গ্রিডে আরও ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে ইআরডির উপসচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্বব্যাংক সহজ শর্তে এ ঋণ দিচ্ছে। সংস্থাটির ঋণের বিপরীতে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। এ ঋণের অর্থ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
কাজী শফিকুল আযম বলেন, ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি চলতি অর্থবছরে অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। সিদ্ধিরগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়নের পর ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বড় অঙ্কের অর্থ দিলো বিশ্বব্যাংক।
তিনি বলেন, সংস্থাটি গত কয়েক বছর ধরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বেশি বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বর্তমানে অবকাঠামো উন্নয়নেও অবদান রাখছে। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক। রাজেশ্বরী পারালকার বলেন, নতুন অংশিদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ প্রকল্পটি ভুমিকা রাখবে মত প্রকাশ করেন তিনি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.