বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের পোশাক খাতের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের, বাইরের কারো নয়।’
রোববার দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২০১৮ সালের পর অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স থাকবে না দেশে। তখন আমাদের পোশাক খাতের নিরাপত্তা আমরাই দিব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানাগুলোর অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশের অধিকাংশ কারখানা এখন কমপ্লায়েন্স হয়েছে। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ফায়ার ও বিল্ডিং সেফটি এখন অনেক ভালো। নিরাপদ কাজের পরিবেশে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট। পোশাক খাতে এখন কোনো সমস্যা নেই। তবুও অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স সন্তুষ্ট নয়।’
বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর তিন বছর পার হলো। এর মধ্যে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। কারখানার মালিকরা এখন অনেক সচেতন। অনেক কারখানা এখন গ্রিন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন বেশি নিরাপদ। তাদের কর্ম পরিবেশও অনেক উন্নত।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে বেসরকারিভাবে ৭ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পায়, আর সরকারিভাবে ৩৫ শতাংশ। অথচ তারা আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কথা বলে।’
সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে যারা বেশি কথা বলে, বিশ্বব্যাপী তারাই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবস্থা অনেক বেশি উন্নত ও ভালো।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করে। অথচ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে ওই দেশেই।’
জঙ্গি ইস্যু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনে যে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কার্যকরী ও প্রশংসিত।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.