রূপচর্চার ক্ষেত্রে মধু ও নিমের ব্যবহার শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তাই রোজকার রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক রূপচর্চায় নিম ও মধুর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক: রূপচর্চায় নিমপাতার ব্যবহার নিমপাতা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যাকে স্বাস্থ্য এবং রূপচর্চায় খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। স্কিন টোনার নিমপাতা স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা সিদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এতে ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হবে। চুলের যত্নে নিম সেদ্ধ পানি একইভাবে গোসলের সময় চুলে ব্যবহার করলে খুশকি এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে। ফেসপ্যাক হিসেবে ১০টি নিমপাতা ও একটি ছোট কমলার খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমাণ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। উপকরণগুলো মসৃণ করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ পেস্টে মিশিয়ে। ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের ব্রণ, কালো দাগ, >চেহারায় ক্ষতের গর্ত দূর করবে। মধু ও নিম উন্নতমানের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। কন্ডিশনার হিসেবে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে নিমপাতা, সিদ্ধ পানি ও মধুর একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এটি একটি ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া খুশকি দূর করতেও কাজে লাগে। চিকিৎসায় শরীরে ব্যথা হলে কেটে গেলে, পুড়ে গেলে, কান ব্যথা হলে কিংবা মচকালে, নিমপাতা ব্যবহার করুন। এতে উপকার পাওয়া যায়। নিমের শিকড় এবং নিমগাছের বাকলও ঔষধি গুণসম্পন্ন। এছাড়া চুলের উকুন ও খুশকি দূর করতে এসব ব্যবহার করা যায়। নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। চামড়ার ইনফেকশন, ব্রণ , চুলকানি ও এলার্জি রোধে নিমপাতা কার্যকর। নিমের প্রসাধনী নিমটোনার, নিমের তেল, সাবান, ট্যালকম পাউডার, শ্যাম্পু, লোশন, ক্রিম, টুথপেস্ট, পাতার ক্যাপসুল বেশ প্রচলিত পণ্য। নিমের এসব পণ্য ত্বককে মসৃণ করে ও ইনফেকশনের হাত থেকে দূরে রাখে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.