ঢাকার ধামরাইয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রকে থাপড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ অভিযোগ ওঠে।ওই স্কুলছাত্রের নাম সাবেদ হোসেন। সে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের নিকলা জে হক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তাকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার স্কুলের একটি জানালার কাচ ভেঙে ফেলে সাবেদ। এ অপরাধে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুর রউফ তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে কানের পর্দা ফেটে যায় সাবেদের। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আবদুর রউফ বলেন, ‘সাবেদ জানালার কাচ ভাঙায় প্রধান শিক্ষক তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। বের করে দেওয়ার পরিবর্তে আমি তাকে (সাবেদ) শাসন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘ডাক্তার সার্টিফিকেট দিয়েছে। কানের কোন ক্ষতি হয়নি।’
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সিরাজী জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ থাকা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ফৌজদারি মামলা করার বিধান রয়েছে। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এখনই বলছি।’
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগামীকাল (বুধবার) প্রধান শিক্ষক, অভিযুক্ত শিক্ষক, ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র ও অভিভাবককে তার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
সাবেদের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘শাসন করার নামে আমার ছেলেকে এমন আঘাত করবে, ভাবতে পারিনি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.