বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি অর্জিত মুনাফা সহজেই নিজ দেশে স্থানান্তরেরও সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল সোমবার ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বা বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলন-২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
নাইরোবীর কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সবসময় বহিঃবাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকার দেশীয় উদ্যোক্তাদের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীকে সমান সুবিধা দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও বিদেশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। সমুদ্র ও আকাশ পথে সহজে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিশ্রমী জনবল, প্রাকৃতিক গ্যাস, মিঠা পানি, উর্বর জমি, অনুকূল আবহাওয়া ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট স্থানে পরিণত করেছে।’
দেশের ১৬ কোটি ভোক্তা এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও ছয় শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের মিরাকল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রচুর অর্থনৈতিক সহায়তা দরকার। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্তমানে এক দশমিক চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হলেও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে বছরে ৩ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ও আন্তবিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তা জোরদার জরুরি। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার কার্যকর ভূমিকা আশা করেন শিল্পমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার মহাসচিব ড.মুখিসা কিটুই উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, বিনিয়োগকারী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.