ট্রেনের কামরায় দুইশ’ বাক্সে রাখা ছিল প্রায় তিনশ’ ৪২ কোটি টাকার ময়লা–ছেঁড়া–ফাটা নোট।
পাশের কামরায় একজন সহকারি কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ দল ছিল প্রহরায়। কিন্ত ট্রেন থামার পরে দেখা গেল এতো নিরাপত্তার মধ্যেও চুরি গেছে টাকা। খবর বিবিসির।
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক ওই টাকা পাঠাচ্ছিল তামিলনাড়ুর সালেম শহর থেকে রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে। ট্রেনটা চেন্নাইয়ে পৌঁছায় মঙ্গলবার।
রিজার্ভ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ওই বিশেষ কামরার দরজা খুলতেই দেখেন ছাদ থেকে সূর্যের আলো ঢুকছে। কামরার ভেতরে ছড়িয়ে আছে টাকা, বেশ কয়েকটা ভাঙা বাক্স। ট্রেনের ছাদে চড়ে পুলিশ সেখানে দুই বর্গফুটের একটা গর্ত দেখতে পায়।
তারপরে টাকা গুনতে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৬ কোটি টাকা চুরি গেছে। রেল পুলিশের আই জি ভি রামসুব্রমনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সব টাকা গোনা শেষ হওয়ার পরেই বোঝা যাবে ঠিক কত টাকা চুরি গেছে। কিভাবে চুরিটা হলো, সে ব্যাপারে কিছু সূত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই সেটা বলা যাবে না।
পুলিশ বলছে, সালেম আর বৃদ্ধাচলম স্টেশনের মধ্যে ১৩৮ কিলোমিটার রেলপথে বৈদ্যুত নেই। ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময়েই দুষ্কৃতিকারীরা গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের ছাদ কেটে থাকতে পারে।
আবার এটাও ধারণা করা হচ্ছে যে, যারা এই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা হয়তো কামরাটি সিল করার আগেই ভেতরে লুকিয়ে ছিল, চুরির পরে ছাদ কেটে তারা পালিয়েছে। টাকা ভর্তি কামরার নিরাপত্তায় যে পুলিশ দল ছিল, তারা বলছে-প্রতিটা স্টেশনেই তারা পরীক্ষা করে দেখেছে যে তালা আর সিল ঠিক আছে কিনা।
পুলিশ ছাদের দিকে নজর দেয়নি কারণ অত শক্ত ইস্পাতের ছাদ যে চলন্ত ট্রেনে কাটা যেতে পারে, এটা তারা কল্পনাও করেনি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.