ভয়ঙ্কর অথচ সুন্দর৷ চুম্বকের মতো আকর্ষণ এর৷ যার টানে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা৷ একবার নয় বারবার, দেখলেও আঁশ মেটে না৷ তর্কসাপেক্ষভাবে ভারতের অন্যতম ভয়ঙ্কর দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে কর্নাটকের আভালাবেট্টা দূর্গ৷
কী দেখবেন : এককালে দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হলেও চিকাবল্লাপুর বনবিভাগের দাক্ষিণ্যে ‘বাইকার্স’দের স্বর্গ হয়ে উঠেছে দাক্ষিণাত্যের এই দূর্গের পথ৷
বিশেষ করে বর্ষাকালে, দুই পাশে সবুজ প্রান্তরকে পিছনে ফেলে যখন দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেন বাইক আরোহীরা৷
পাহাড়ে ওঠার জন্য পাথরের সিড়ি রয়েছে৷ যা দিয়ে উঠতেই দেখা মিলবে লক্ষ্মী-নরসিংহ মন্দিরের৷ যেখানে প্রায়ই পূজা-বন্দনা করতে আসেন স্থানীয়রা৷
পাহাড়ের অন্দরেই লুকিয়ে রয়েছে আন্নাম্মাদোনাহা জলাধার৷ সৌন্দর্য ও নির্মলতার অনবদ্য মিশেল৷এলাকাবাসীদের বিশ্বাস, সন্তানসুখ থেকে যাঁরা বঞ্চিত, সেই সমস্ত সন্তানহীন নারীরা এই জলাধারে স্নান করে পূজা-অর্চনা করলে সন্তান লাভ করেন৷
তবে দূর্গের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ জলাধারের পাশের একটি ঝুলন্ত পাথরের চাঁই৷ যার উপরে গিয়ে দাঁড়াতে অতি বড় সাহসীরও বুক কেঁপে উঠতে বাধ্য৷ অবশ্য উপর থেকে গ্রাম ও বনভূমির যে সৌন্দর্যের দেখা মেলে, তার জন্য এইটুকু রিস্ক নিতেই পারেন৷
কীভাবে যাবেন : বেঙ্গালুরু থেকে বেল্লারি রোড ধরে যেতে হবে চিকবল্লাপুর৷ সেখান থেকে মান্ডিকাল৷ মান্ডিকাল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আভালাবেট্টা দূর্গ৷ সাধারণত বাইক নিয়েই এই স্থানে যেতে পছন্দ করেন পর্যটকেরা৷
কোথায় থাকবেন : সাধারণত একবেলার জন্যই যান এখানে পর্যটকরা৷ তবে থাকতে চাইলে একমাত্র আশ্রয় বনবিভাগের বাংলোই৷ আর খাবার অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যাবেন৷
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.