খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে চিনির দাম। অল্প দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে দু’দফা। আর গত তিন মাসের মধ্যে চিনির দাম প্রতি কেজিতে ২৭ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায় এবং খোলা ৬৮-৭২ টাকায়। এভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এক কেজি চিনি মিলছে দুই কেজি চালের দামে। ভোক্তাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে বাড়ানো হচ্ছে এ দাম। ভোক্তার পকেট থেকে আদায় করা এই বাড়তি দাম উৎপাদক, আমদানিকারক, পাইকার ও খুচরা- সব পর্যায়ে ভাগাভাগি হচ্ছে। বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেই চিনির দাম বাড়তির দিকে। ফলে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
জানা গেছে, রিফাইনারিগুলো তাদের পরিশোধিত চিনি মিলগেটেই বিক্রি করছে অযৌক্তিক দামে। চিনি পরিশোধনকারী সিটি গ্র“প মিলগেটে প্রতি কেজি চিনি ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা, মেঘনা ৬৩ টাকা ২৫ পয়সা, ইগলু ৬৩ টাকা, দেশবন্ধু ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা, আবদুল মোনেম ৬৩ টাকায় বিক্রি করছে। ওদিকে দরবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চিনির দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দামের গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড নির্ধারণের চেষ্টা করছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি ও মৌলভীবাজারের মেসার্স দেলোয়ার হোসেন অ্যান্ড কোং স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন জানান, চিনির দর বেড়েছিল ঠিকই। এখন কিন্তু আবার কমছে। কারণ চিনির বেচা-বিক্রিই কমে যাচ্ছে। আগের তুলনায় দরবৃদ্ধি পাওয়াই এর অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা করি কমিশনের ভিত্তিতে। প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ পয়সা লাভ পেলেই মাল ছেড়ে দেই। খুচরা পর্যায়ে বা মিলগেটে দরবৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের লাভালাভে কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই এ স্তরের ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিকভাবে দর বাড়ানোরও কোনো মানে হয় না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.