পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন সোয়ারীঘাট এলাকায় একটি বরফ কলে অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে চার মাস বয়সী শিশুসহ তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। শনিবার রাতে এ দুর্ঘটনার পর বরফ কলের শ্রমিক ও আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট লিকেজ হওয়া সিলিন্ডারটি শনাক্ত করে গ্যাস ছড়ানো বন্ধের চেষ্টা চালায়। রাতে সাড়ে ১০টার দিকে সিলিন্ডারের লিকেজ শনাক্ত করে বন্ধ করা হয়।
তবে আগেই নির্গত হওয়া গ্যাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসী জানান, বুড়িগঙ্গার তীরে সোয়ারীঘাট এলাকায় বরফ কলটি অবস্থিত। সোয়ারীঘাটে দেশের বৃহত্তর পাইকারী মাছের বাজারে ওই বরফ কল থেকে বরফ সরবরাহ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরফ কল থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গতের খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কর্মীরা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডারের হুইল বন্ধ করা হয়। গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আশপাশে পানি ছিটানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় শিশু জুনায়েদসহ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয।
জানা যায়, যানজটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ সময় লেগে যায়। সেই গাড়ি পৌঁছানোর পর পানি দিয়ে গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
চকবাজার থানার ওসি শামীম উর রশিদ তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, গ্যাস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছে।
তিনি জানান, ওই বরফ কলটির মালিক হাসনাত নামে এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে সার কারখানায় দুর্ঘটনায় অ্যামোনিয়া গ্যাস নির্গমন হলে তাতে অর্ধশত মানুষ অসুস্থ হন। আশপাশের জলাশয়ের মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীও মারা যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.