আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। পূর্ণিমা হলেও সন্ধ্যায় চাঁদ ছিল সেই মেঘের তলায়। তাতে পূর্ণিমা উৎসব ঠেকে থাকেনি। চারপাশের বাতি নিভিয়ে অন্ধকারে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে উদ্যাপন করা হলো সেই উৎসব।গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে ছিল পূর্ণিমা উৎসব। দীর্ঘদিন ধরে এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন সময় তাতে গান করেছেন অনেক শিল্পী। গতকাল গান করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রোকাইয়া হাসিনা। গান শুরুর আগে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমেই আজ এই উৎসবে গাওয়ার সুযোগ পেয়েছি।’বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নয়তলার ছাদে এ ঘরোয়া আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন অনেক শ্রোতা। বেশির ভাগই তরুণ, কেউ বা সাহিত্যকেন্দ্রের পাঠক। শুরুতেই উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে শিল্পীকে পরিচয় করিয়ে দেন সঞ্চালক। ছায়ানটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিল্পী হাসিনার ছয়টি অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। দেশ-বিদেশে গান গাইতেও গিয়েছেন অনেকবার। নিউইয়র্কে বিস্ফোরণে অনেক মানুষ হতাহতের খবরে বেদনার্ত হয়েছেন তিনি। অতিথিদের সঙ্গে তার শোক ভাগাভাগি করে শুরুতেই গেয়ে শোনালেন রবীন্দ্রনাথের ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’।কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বিভাগের উপদলনেতা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতি পূর্ণিমায় এ আয়োজন করা হয়। প্রতিবারই উপস্থিত থাকেন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও এ উৎসবের উদ্যোক্তা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এই পূর্ণিমায় তিনি দেশের বাইরে।উৎসবে বেশ কিছু রবীন্দ্রসংগীত শোনান হাসিনা। গানের ফাঁকে বলেন, ‘আজ কিছু পরিচিত গান শোনাব, যাতে আপনারা আমার সঙ্গে গাইতে পারেন।’ হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি গেয়ে শোনান, ‘চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে’, ‘নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি’, ‘তোমরা যা বলো তাই বলো’, ‘দেখো দেখো, দেখো, শুকতারা’, ‘বিরহ মধুর হল আজি’সহ আরও বেশ কিছু গান।সন্ধ্যা রাতের দিকে গড়াতে থাকলে পূর্ণিমা উৎসবে শ্রোতাও বাড়তে থাকে। অনেকের সঙ্গে গতকাল উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.