আমাদের দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে এই উৎসবটি বেশ ধুমধাম করে পালিত হয়। তামিল এবং তেলেগু, দুই ভাষাতেই পোঙ্গাল কথার অর্থ হল, হাঁড়িতে ভাত সেদ্ধ করা। কবে থেকে এবং কী কারণে এই উৎসব উদযাপন শুরু হয় সে বিষয়ে জানা না গেলেও একথা নিশ্চয় সবাই জানেন যে নব্বানের এই উৎসব সারা দেশজুড়ে পালিত হয়। পোঙ্গাল উৎসব দিয়ে শুরু হয় নতুন বছর, যখন আমরা ভগবানকে ধন্য়বাদ জানাই তার আশির্বাদের জন্য়। সর্বোপরি এই উৎসবের মাধ্য়মে ফসল এবং গবাদি পশুদেরও ধন্য়বাদ জানানো হয়।
শীত শেষে প্রায় চারদিন ধরে পালন করা হয় এই উৎসব। আর এই চারটি দিনকে এক এক নামে ডাকাও হয়ে থাকে। যেমন- ভোগি পোঙ্গাল, সূর্য পোঙ্গাল, মাতু পোঙ্গাল এবং কানুম পোঙ্গাল। চলুন পোঙ্গাল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক আরও কিছু বিষয়।
কোলাম: পোঙ্গাল উৎসব পালনের জন্য় এটি খুব দরকার। কোলাম তৈরি করা হয় চালের গুড়ো দিয়ে। আর এটি দিয়ে আলপনা আঁকা হয় বাড়ির বিভিন্ন জায়গায়।
উপহার: কোনও উৎসব ততক্ষণ শেষ হয় না, যতক্ষণ না উপহারের আদান-প্রদান হচ্ছে। এই দিনেও পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের মধ্য়ে উপহার বিনিময় হয়। কিছু জনপ্রিয় পোঙ্গাল উপহার হল পোঙ্গাল পাডি এবং পোঙ্গাল পারিসু।
নতুন জামাকাপড় কেনা হয়: এই দিন পুরানো জামাকাপড় বর্জন করে নতুন জামাকাপড় পড়ার রেওয়াজ আছে। এমনকি এই দিন পুরানো বাসনপত্রের জায়গা নেয় নতুন বাসন। পুরানোগুলি দিয়ে কী হয় জানেন? বাড়ির বাইরে বানানো বনফায়ারে ফেলা হয় সেগুলি এবং পরিবারের ছোট সদস্য়রা সেই আগুনকে ঘিরে উৎসব পালন করে।
আখ গাছ: পোঙ্গাল উৎসবের আগে আখ গাছে বাজার ভর্তি হয়ে যায়। কারণ এই উৎসব আখ গাছ ছাড়া পালন করা সম্ভবই নয়। উৎসবের দিনে বাড়ির গেটে লাগানো হয় আখ গাছগুলিকে।
খাবার: এই দিন বিশেষ কিছু খাবার বানানো হয় এবং তা পরিবার, বন্ধুদের মধ্য়ে বিতরণ করা হয়। গুড় দিয়ে বানানো হয় মিষ্টি: এই উৎসবের দিনে মিষ্টি বিতরণের পাশাপাশি তিলের নাড়ু, নারকেল আরও অনেক কিছু দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয় গৃহ প্রাঙ্গন।