গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রবিবার রাত ১০টায় সুন্দরগঞ্জ থানায় এমপির ছোট বোন মোছা. ফাহমিদা বুলবুল কাকলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তিন সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধিদল ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পরে রংপুর পুলিশ লাইনস মাঠে এমপি লিটনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে রংপুর থেকে তার লাশ ঢাকা আনা। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাদ আসর সুন্দরগঞ্জে তার তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।
মনজুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। রবিবার ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা। ফলে উপজেলার সব রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হরতাল পালন করে আওয়ামী লীগ।
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে আসে। তারা এ হত্যার জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় দুটি মোটরসাইকেলে করে ৫ যুবক দেখা করার কথা বলে লিটনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় লিটনকে লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা দ্রুত তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.