শাশুড়ির নিজের বিবাহিত জীবন অসুখী ছিল। তার সমস্যা সে ছেলের বউকে প্রচণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আরও কিছু সাইকো ইস্যু আছে। ছেলের বউয়ের গায়ে হাতও তোলে। ছেলে জানে। কিন্তু চুপচাপ, বউকে ব্লেইম করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। নিজেই টটস্থ। দুই পক্ষ সামলাতে পারে না। ছেলে আলাদা থাকবে না, মেয়েটি বলছে। এক বছর ধরে প্রতিদিন এই সমস্যা বাবা-মাকে জানালে তারা বলেছেন, চেষ্টা কর। বিবাহবিচ্ছেদ হলে তাদের আফগান সমাজে কৈফিয়ত দেওয়া বিব্রতকর। মাত্র গত বছর অনেক ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়েছে! কিছু বলার নাই। অনেক যুগলকে দেখেছি সময়ের সঙ্গে তাদের বন্ধন দৃঢ় হয় এই সব ইস্যু নিয়েও। আবার অনেকের সম্পর্কের ফাটল বাড়তে বাড়তে দেয়াল ধসে পড়ে। মাঝখানে সময় অপচয় হয়, জীবন ও যৌবনেরও। সঙ্গে যোগ হয় আরেক ধারণা, সব ঠিক হয়ে যাবে ছেলেমেয়ে জন্ম হলে। আসলে কি তাই, নাকি আরও কিছু কচি জীবনকে যন্ত্রণার ফাঁদে ফেলা। সঠিক করে কিছু বলা মুশকিল! আসলে বিয়ের আগে ছেলের ভুবন জুড়ে থাকেন মা। বিয়ের পর বউ। বিয়ের পর মায়েদের এই নবদম্পতিকে একটু ছাড় দিলে ক্ষতি নেই। নিজের মেয়েকে যেমন তার স্বামীর সঙ্গে হাত-পা ঝাড়া দেখতে ভালো লাগে, অন্য মেয়েকে সে রকম দেখতে সমস্যা কি? রক্তের বন্ধন, নাড়ির টান কেউ ছিঁড়তে পারেন না সহজে। একটা নতুন সম্পর্কে কিছুটা মনযোগ সরতে পারে মাত্র। নিজের মেয়ের মতন ভালোবাসা দিয়ে অন্যের মেয়েকে বরণ করে নিলে শেষ বয়সে শাশুড়িকে এই ভালোবাসা সে ফিরিয়ে দেবেই। মাঝখানে যতই অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। প্রবাসেও নিজের দেশের ঘরে ঘরে খামোখা তৈরি করা ইস্যুগুলো দেখি। জীবন তো একটাই। সংঘাতের থেকে দূরত্ব শ্রেয়। সব সম্পর্কের বারান্দা দরকার। যেখানে দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নেওয়া যায়। রজ্জু শক্ত করে বাঁধতে চাইলে ছিঁড়ে যাওয়ার অথবা বেশি প্যাঁচ লাগার সম্ভাবনা থাকে। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। সূএ: ইন্টারনেট