সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার প্রত্যাশা অনুযায়ী কমিয়ে আনা হচ্ছে না কেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে কি এ নিয়ে ষড়যন্ত্র সক্রিয় থাকার যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অনেকে করে থাকেন, সেটাই সত্য? উল্লেখ্য, অনেক অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার বলছেন, সুদের হার নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে শিল্প-কলকারখানা যাতে সফলভাবে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য দেশী-বিদেশী একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে পর্দার অন্তরালে থেকে নেতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশ যাতে শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারে সেজন্য তারা ঋণের সুদের হার বেশি থাকার ব্যাপারে তৎপর। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ ও সুদের চক্রবৃদ্ধি হারের জাঁতাকলে পড়ে শিল্প-মালিক ও উদ্যোক্তারা নাকাল হচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বস্তুত উচ্চ সুদের কঠিন ফাঁদ সবকিছু গ্রাস করে ফেলছে। এ অবস্থার দ্রুত অবসান হওয়া উচিত। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বিনিয়োগ না থাকায় দেশে নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না; সেই সঙ্গে চলমান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও সম্প্রসারিত হচ্ছে না। এতে সংকুচিত হচ্ছে কর্মসংস্থানের পথ, যা বাড়িয়ে দিচ্ছে বেকারের সংখ্যা। এ সহজ সত্যটি কি নীতিনির্ধারকরা উপলব্ধি করতে পারছেন না? অথচ বিষয়টি উপলব্ধি করে আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান বা স্প্রেড কমানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বস্তুত দেশে ঋণের সুদের যে হার বিদ্যমান তা অযৌক্তিক। স্প্রেড হিসেবে চার শতাংশ যুক্ত করলে সুদের হার দাঁড়ায় ১০ শতাংশ, বাস্তবে যা আরও বেশি। পার্শ্ববর্তী প্রায় সব দেশে সুদের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ। ইউরোপের দেশগুলোতেও এ হার ৩ থেকে ৪ শতাংশ। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার ওই পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিকল্প নেই।
ব্যাংকগুলো স্প্রেড কমাচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এতদিন নাকি এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো তদারকি ছিল না। শুধু ৫ শতাংশের ওপরে স্প্রেড নেয়া যাবে না, এমন একটি নির্দেশনা দেয়া ছিল। তবে তদারকির অভাবে প্রতি মাসেই ওই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে তার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করবে। সেই সঙ্গে স্প্রেডসীমা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। ব্যাংকগুলোয় প্রচুর টাকা অলস পড়ে থাকলেও উচ্চ সুদের কারণে তা বিনিয়োগ হচ্ছে না। বিনিয়োগের মন্দাভাব কাটিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও ব্যাংক ঋণের সুদের হার প্রত্যাশা অনুযায়ী কমিয়ে আনা হচ্ছে না কেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে কি এ নিয়ে ষড়যন্ত্র সক্রিয় থাকার যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অনেকে করে থাকেন, সেটাই সত্য? উল্লেখ্য, অনেক অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার বলছেন, সুদের হার নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে শিল্প-কলকারখানা যাতে সফলভাবে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য দেশী-বিদেশী একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে পর্দার অন্তরালে থেকে নেতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশ যাতে শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারে সেজন্য তারা ঋণের সুদের হার বেশি থাকার ব্যাপারে তৎপর। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ব্যাংকগুলো স্প্রেড কমাচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এতদিন নাকি এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো তদারকি ছিল না। শুধু ৫ শতাংশের ওপরে স্প্রেড নেয়া যাবে না, এমন একটি নির্দেশনা দেয়া ছিল। তবে তদারকির অভাবে প্রতি মাসেই ওই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে তার তদারকি কার্যক্রম জোরদার করবে। সেই সঙ্গে স্প্রেডসীমা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। ব্যাংকগুলোয় প্রচুর টাকা অলস পড়ে থাকলেও উচ্চ সুদের কারণে তা বিনিয়োগ হচ্ছে না। বিনিয়োগের মন্দাভাব কাটিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.