সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় নেশাখোরদের দায়ী করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বাগানে শতাধিক বনজ, ফলদ ও ওষুধি মূল্যবান গাছ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশত গাছ পুড়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সকাল ৯টার দিকে বাগানে সামান্য ধোঁয়া দেখতে পান। আস্তে আস্তে সেই ধোঁয়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুপুর ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই বাগানে প্রায়ই বহিরাগতরা এসে নেশা করে। ধারণা করা হচ্ছে, নেশা করতে গিয়ে তাদের জ্বালানো আগুন বাগানে ছড়িয়ে পড়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, কীভাবে বাগানে আগুন লেগেছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি কারো কারো বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলে বলেন, নেশাখোররা প্রতিদিন বাগানে এসে নেশা করে থাকে বলে তিনি জেনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, বাগানে আগুন লাগার বিষয়টি জেনে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুরুন্নবীর সঙ্গে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজয় দিবসের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনও আগুন লাগার ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে ব্যস্ততা কমলে একটি তদন্ত কমিটি করে তার অনুসন্ধান চালানো যাবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.