মানুষের সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে গড়ে বিভিন্ন ধরণের উৎসব। প্রায়শই আমাদের চারপাশে নানান ধরণের উৎসব পালিত হতে দেখি।
উৎসব বলতে সাধারণত সামাজিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত প্রেক্ষাপটে পালিত আনন্দ অনুষ্ঠানকে বোঝায়। বাংলায় প্রচলিত লোকায়িত উৎসবের মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তি, নবান্ন, পৌষ মেলা ইত্যাদি। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে রয়েছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বার্ষিক উৎসবের মধ্যে রয়েছে জন্মাষ্ঠমী, রথযাত্রা, দূর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা।
এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ধরণের উৎসব পালিত হয়ে থাকে। যা আমাদের অধিকংশেরই অজানা এবার আপনাদের সাথে এমনই পাঁটি অজানা উৎসবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।
বরফ উৎসবঃ
বরফ উৎসব শীতকালে জাপানের খুবই জনপ্রিয় উৎসব। জাপানের সাপোরো এলাকার অধিবাসিরা ফেব্রুয়ারি মাসের সাত দিন ধরে বরফ উৎসব নামের এই উৎসবটি পালন করে থাকে।১৯৫০ সালে সাপোরো এলাকার ৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিলে ছয়টি বরফের শিক্ষার্থী তৈরী করার পর থেকেই তারা এ উৎসবটি পালন করে আসছে।
উৎসবটির প্রধান আকর্ষণ বরফের তৈরী মনো মুগ্ধকর সব ভাস্কর্য। উৎসবটিকে ঘিরে জাপানের সব বড় বড় ভাস্করেরা বরফ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের মূর্তি তৈরী করে। দিনকে দিন এই উৎবটি জাপনে বেশ পরিচিত হয়ে উঠছে । বর্তমানে জাপানের সাপোরোতে এই উৎসবটি দেখার জন্য হাজারো লোক জড়ে হয়।
বালি উৎসবঃ
জাপানের বরফ উৎসবের সাথে বালি উৎসবটার অনেকটা মিল আছে। বরফ উৎসবে যেমন বরফ দিয়ে প্রতিকৃতি তৈরী করা হয় বালি উৎসবেও তেমনি করে বালি দিয়ে নানাধরণের প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়।
উৎসবটি পালিত হয় পর্তুগালের আলর্গাভে। উৎসবটি প্রথম পালিত হয় এখন থেকে একযুগ আগে অর্থ্যাৎ ২০০৩ সালে।
সাধারণত উৎসবটি যে কোন সমুদ্র সৈকতে হয়ে থাকে। এবং তা সমুদ্র সৈকতের প্রায় ১৫০০ বর্গ ফুট জায়গা জুড়ে। এখানে বালি দিয়ে তৈরী করা প্রতিকৃতির মাধ্যমে সে দেশেরই কালচারকে ফুটিয়ে তোলা হয়।
বেলুন উৎসবঃ
এবার হয়তোবা উৎসবটির নাম শুনেই বুঝে ফেলেছেন যে এই উৎসবটি করা হয় বেলুনের মাধ্যমে। হ্যাঁ এই উৎসবটিকে ঘিরে আকাশে উড়ানো হয় না ধরণের রংয়ের বেলুন। তবে আশ্বর্য্যের বিষয় হচ্ছে আকাশে নানা নয় দিন ধরে বিরতি হীন বেলুন ওড়ানো হয়।
আগুন উৎসবঃ
আমরা ছোটবেলায় প্রায় একটা উপদেশ বড়দের কাছ থেকে শুনতাম আগুন নিয়ে খেল না। আসলে আগুন নিয়ে খেলা করা বিপদের কারণ হতে পারে।
তবে এ সবের কোন তোয়াক্কা না করেই স্কল্যান্ডের অধিবাসিরা পালন করেন আগুন উৎসব।তারা প্রতিবছরের শীতের সময়টাতে এই উৎসব পালন করে থাকনে।কথিত আছে ১৮৭৬ সাল থেকেই নাকি তারা এই উৎসবটি পালন করে আসছেন।
বাতি উৎসবঃ
এবার বলবো বাতি উৎসবের কথা।উৎসবটি পালিত হয় জাপানের কুওয়ানা শহরে।শীতকালে শহরের অধিবাসীরা এই উৎসবটি পালন করে থাবেন।
উৎসবটিতে সেখানকার অধিবাসীরা মিলিয়ন মিলিয়ন বাতি প্রজ্বলন করে থাকেন। এবং এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন ফুল ফল সহ নানা ধরণের প্রাণীর চিত্তকর্ষক চিত্র।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.